ফেনী প্রতিনিধি: ফেনী-২ আসন থেকে টানা দুবার নির্বাচিত হয়ে ১০ বছরে ১৯ গুণ সম্পদ বেড়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারীর। আর একই সময় তাঁর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৪৪ গুণ। ২০১৩ সালে নিজাম হাজারী ও তাঁর স্ত্রীর মোট সম্পদ ছিল ৪ কোটি ৩৫ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১০৪ কোটি ৭৬ লাখ ২২ হাজার ৩১৮ টাকা।
হলফনামা অনুযায়ী, ২০১৩ সালে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৪১ হাজার ৪৬৮ টাকা। ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭ কোটি ৪৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮৩ টাকা। ৫ বছরে আয় বাড়ে ৩০৮ গুণের বেশি। ২০২৩ সালে আবার বার্ষিক আয় কমে দাঁড়িয়েছে ৯৩ লাখ ২১ হাজার ৩৯৫ টাকায়।
২০১৩ সালে তাঁর অস্থাবর সম্পদ ছিল ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা; আর স্থাবর সম্পদ ১ দশমিক ৮ একর জমি। ২০১৮ সালে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ২৩ কোটি ৫৬ লাখ ১০ হাজার ৪৫১ টাকা। আর ২০২৩ সালে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৫১ লাখ ৯২ হাজার ৭২৫ টাকা। সেই হিসেবে ১০ বছরে সম্পদ বেড়েছে ১৯ গুণ।
স্থানীয়রা বলছেন, রাজনীতিকে ব্যবহার করে সম্পদের পাহাড় গড়া নৈতিকতা বিরোধী। তথ্য গোপন করে তাঁর সম্পদ কম দেখাচ্ছেন অথবা স্ত্রীর সম্পদ কম দেখাচ্ছেন। একজন আইনপ্রণেতা হিসেবে তিনি এই কাজ করলে এটা নৈতিকতা বিরোধী।
এদিকে ২০১৩ সালে নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ ছিল ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তবে ১০ বছরে তা ৪৪ গুণ বেড়ে হয়েছে ৩৬ কোটি ২৪ লাখ ২৯ হাজার ৫৯৩ টাকা।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ফেনীর সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বলেন, তিনি গৃহিণী হয়েও দেখা যাচ্ছে তাঁর সম্পদ বেড়ে যাচ্ছে। এর কারণ হলো, নেতা বা জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের সম্পদ আড়াল করার জন্য স্ত্রীদের নামে–বেনামে তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের সম্পদ গচ্ছিত রাখছে।
শাহাদাত হোসেন বলেন, বর্তমান সময়কার রাজনীতিবিদেরা নিজেদের আখের গোছাতে সময় কাটাচ্ছে। দৃশ্যত কোনো ব্যবসা বাণিজ্য না থকলেও সময়ের ব্যবধানে জনপ্রতিনিধিরা সম্পদের পাহাড় গড়ছে। স্ত্রীরা সাধারণত কোনো আয়ের সাথে সম্পৃক্ত নেই।